মৃতব্যক্তির সম্পদের ওয়ারিশ যারা

Oarish Top20151020122727
Spread the love

ধন-সম্পদ আল্লাহর দান। মানুষ কষ্ট করে সম্পদ অর্জন করে। আয়-রোজগার করে ক্রয়ের মাধ্যমে মানুষ সম্পদের মালিক হয়। এ ছাড়া উত্তরাধিকার সূত্রেও মানুষ সম্পদের মালিক হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হতে হলে দু’টি শর্ত রয়েছে।ভূমিবিডি নিউজে তার বিবরণ তুলে ধরা হলো-উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠার শর্তদুই ভাবে মানুষ সম্পদের উত্তরাধিকার পায় তার একটি হলো- সম্পদের মালিক মৃত্যু বরণ করলে। আর দ্বিতীয়টি হলো- মৃত্যুকালে ওয়ারিশদের জীবিত থাকা। কাজেই সম্পদের মালিকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পত্তিতে ওয়ারিশদের হক প্রতিষ্ঠিত হবে না।প্রশ্ন উঠতে পারে…সম্পদের মালিক ‘মুরিশ’ যদি নিখোঁজ থাকে এবং তার বাঁচা-মরার বিষয়ে কোনো কিছু জানা না যায়। তখন আদালতের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি হবে। যদি বিচারক মৃত্যুর পক্ষে রায় দেয় তবে তার ওয়ারিশগণ সম্পদের হকদার হবেন।কারা ওয়ারিশ হবেউত্তরাধিকার লাভের ভিত্তি হচ্ছে মৃত্যুব্যক্তির সঙ্গে নিকটাত্মীয়তার সম্পর্ক থাকতে হবে। এ হিসাবে যে সব আত্মীয় ওয়ারিশ হয় তারা মোট পঁচিশ শ্রেণির লোক। যার মধ্যে ১৫ শ্রেণির পুরুষ এবং ১০ শ্রেণির মহিলা রয়েছে-পুরুষদের মধ্যে যারা ওয়ারিশ১. পুত্র, ২. পৌত্র, ৩. পিতা, ৪. দাদা, ৫. আপন ভাই, ৬. বৈমাত্রেয় ভাই, ৭. বৈপিত্রেয় ভাই, ৮. আপন ভাইয়ের পুত্র, ৯. বৈমাত্রেয় ভাইয়ের পুত্র, ১০. আপন চাচা, ১১. বৈমাত্রেয় চাচা, ১২. আপন চাচাত ভাই, ১৩. বৈমাত্রেয় চাচাত ভাই, ১৪. স্বামী, ১৫. মুক্তিদানকারী মুনিব।নারীদের মধ্যে যারা ওয়ারিশ১. কন্যা, ২. মাতা, ৩. পৌত্রী, ৪. দাদী, ৫. নানী, ৬. আপন বোন, ৭. বৈমাত্রেয় বোন, ৮. বৈপিত্রেয় বোন, ৯. স্ত্রী, ১০. মুক্তিদানকারিনী।যে সব আত্মীয় ওয়ারিশ হবে না১. মৃতের সৎপুত্র ও কন্যা অর্থাৎ স্ত্রীর প্রাক্ত স্বামীর সন্তান, ২. সৎপিতা, ৩. মৃত মহিলার সৎপুত্র ও কন্যা, ৪. সৎমা, ৫. মৃতব্যক্তির শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকা, ৬. মৃত মহিলার শ্বশুর শাশুড়ি দেবর ননদ ও অনুরুপ পুত্রবধূ, ভাবী, ৭. পোষ্য পুত্র ও কন্যা ৮. ধর্ম পিতা-মাতা।

আরও নিউজ পেতে ক্লিক করুন


Spread the love

Join The Discussion

Compare listings

Compare